বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

গাজায় পৌঁছানোর আগেই ফ্লোটিলার যাত্রা ‘শেষ’, দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙা এবং গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৫টি জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৫০০ অধিকারকর্মী।

তবে তাদের গাজায় যেতে দেয়নি ইসরায়েল। গতকাল রাতে দখলদারদের নৌ কমান্ডোরা এসব জাহাজ আটক করা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এই যাত্রা গাজায় পৌঁছানোর আগে শেষ হয়ে গেছে। এসব জাহাজ আটকাতে গিয়ে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি মন্ত্রণালয় এই ফ্লোটিলাকে হামাসের ফ্লোটিলা হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, “হামাস-ফ্লোটিলার উস্কানিমূলক জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ অথবা নৌ অবরোধ ভাঙতে পারেনি। জাহাজের সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। তারা নিরাপদে ইসরায়েলে যাচ্ছেন। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে।”

একটি জাহাজ এখনো সমুদ্রে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি সমুদ্রে আছে। কিন্তু জাহাজটি গাজার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এই জাহাজটিও যদি গাজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে এটিকে আটকানো হবে।

এদিকে ফ্লোটিলার আয়োজকরা বলেছিলেন, একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে দখলদার ইসরায়েল দাবি করেছে, লাইভ ট্রেকারের ত্রুটির কারণে জাহাজটিকে গাজার জলসীমায় দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে জাহাজটি গাজার কাছে যায়নি। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আয়োজকদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা এখন পর্যন্ত ৩৯টি জাহাজ আটক করেছে। কিন্তু একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে যাচ্ছে।

প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন